রাজধানীর বাড্ডায় সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে শিশু মৃত্যু

মোট দেখেছে : 222
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

রাজধানীর বেসরকারি একটি স্কুলের নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়ান। রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড মেডিকেল হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় কয়েকদিন থাকার পর শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে শিশুটি। ঘটনায় হাসপাতালের অব্যবস্থাপনাকে দায়ি করেছেন আয়ানের পিতা।

অভিযোগ উঠে, গত ৩১ ডিসেম্বর আয়ানকে সুন্নতে খত্নার জন্য ফুল অ্যানেস্থেশিয়া দেয়া হয় বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, অনুমতি ছাড়াই খৎনার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। খতনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরুলেও তাঁর জ্ঞান না ফেরায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় শিশুটিকে। অতঃপর সেখানে এক সপ্তাহ পিআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৭ জানুয়ারি শেষরাতের আয়ানকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন বিকালে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আজ সোমবার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শিশুটির এক আত্নীয় জানান, সুন্নতে খৎনার আগের দিনও শিশু আয়ানের সব ধরনের টেস্ট করা হয়। ডাক্তারদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারা। কিন্তু, যাদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন তারাই তাদের সন্তানের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ালো।
প্রসঙ্গত, ১০হাজার টাকা প্যাকেজে শিশুটির পরিবার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজে আসেন। আসার পর ৩হাজার টাকার মেডিক্যাল চেকআপ টেস্ট সারতে হয় তার। আয়ানের মৃত্যুর পর হাস্পাতালের সর্বমোট বিল আসে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। কিন্তু ঘটনাটির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিলটি না নিয়ে লাশ মধ্যরাতেই ফেরত দিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, খৎনা কাজে করাতে শিশুটি যেন কষ্ট না পায় এই কারণে ফুল এনেস্থেশিয়া দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ডাক্তারদের পেশাদারীত্বের ওপর অত্যধিক ভরসা করার মাসুল দিতে হইয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।

আরো দেখুন

সর্বশেষ ফটো