এবার ফিক্সিং সন্দেহে বিপিএল থেকে বাদ পড়লেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার

মোট দেখেছে : 217
প্রসারিত করো ছোট করা পরবর্তীতে পড়ুন ছাপা

আচমকাই বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশালের প্রেস বিজ্ঞপ্তি। হঠাত করে জানিয়ে দেয়া হল আর বিপিএল খেলবেন না পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। কেন হঠাত করে শোয়েব মালিকের ওপর কঠিন সিদ্ধান্তে গেল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

বিশ্লেষকরা বলছেন ফিক্সিং সন্দেহেই দল থেকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে আগেভাগেই শোয়েব মালিককে সরিয়ে নিয়েছে ফর্চুন বরিশাল।  ফর্চুন বরিশালের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বরিশাল প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। যে স্কোরটিকে বরিশাল জেতার জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছিল। কাকতালীয়ভাবে ভালো বোলিং করেও বরিশাল সেই ম্যাচটি হেরে যারে যায়। কিন্তু বিশ্লেষকদের চোখে বাধে শোয়েব মালিকের করা ইনিংসের ৪র্থ ওভারটিতে। বরিশালের ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল ৪র্থ ওভারেই একজন স্পিনার দিয়ে বল করাতে চাইলে শোয়েব মালিককে বেছে নেন। যেখানে শোয়েব অপ্রত্যাশিতভাবে ১৮ রান দিয়ে বসেন খুলনাকে। তবে শুধু ১৮রান দেয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিলনা
পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের করা সেই ওভারটি। সেই ওভারে শোয়েব করে বসেন তিন-তিনটি নো বল। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেট খেলা একজন প্লেয়ারের কাছ থেকে যেটি স্বাভাবিকভাবে অপ্রত্যাশিতই ছিল। উল্লেখ্য এর পরে বাকি ১৬ওভারে একটিবারের জন্যেও তামিম শোয়েবের হাতে বল তুলে দেননি।

জানা যায়, টিম ফর্চুনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা বিশ্ব বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ ডেব হোয়াট্মোর এই ওভারটির জন্য তীব্রভাবে তিরষ্কার করেন। এরপর থেকে শোয়েবকে ঘিরে এক ধরনের ট্রাস্ট ইস্যুতে ভুগতে থাকে পুরো দল। টিম মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হয় শোয়েব মালিককে দিয়ে ম্যাচে আর কোন বোলিং করানো হবেনা। যে কারণে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে তাদের তৃতীয় ম্যাচে শোয়েবকে দিয়ে কোন বোলিং করায়নি বরিশাল। টিম ম্যানেজমেন্টের সুত্র ধরে জানা যায়, শোয়েব ঢাকা পর্ব শেষে ছুটি নিয়ে সদ্য বিবাহিত তিন নম্বর স্ত্রী সানা জাভেদের সাথে দেখা করতে যান। ফিরে এসে সিলেট পর্বে শোয়েবের যোগ দেয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে তিনি আরো কিছু দিনের জন্য ছুটি চেয়ে বলেন যে তিনি সামনের তিনটি ম্যাচ খেলবেন না। আর সেই মোক্ষম সুযোগ লুফে নেয় বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি। শোয়েব মালিক যেহেতু নিজে না করছেন সেই সূত্র ধরে ফর্চুন বরিশাল তাকে বাকি ম্যাচ গুলোতেও খেলা লাগবে না বলে জানিয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি কোড অফ কন্ডাক্টে নিজেদের নিরাপদ জায়গায় রেখে ফিক্সিং সন্দেহে থাকা কাটাকে একেবারেই সরিয়ে নেয়।

আরো দেখুন

সর্বশেষ ফটো