সৌদি লীগের দল গুলোর কাছে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে লিওনেল মেসির ইংলিশ ক্লাব ইন্টার মায়ামি। আগের একটি প্রীতি ম্যাচে সৌদি ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে ৪টি গোল হজম করে বৃহস্পতিবার রাতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসেরের বিপক্ষে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। অন্যদিক মেসি-গত দেড় যুগ ধরে ফুটবল বিশ্বকে বুধ করে রাখা এ দুই মহাতারকার দ্বৈরথ আরও একবার দেখা যাবে বলে এই ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা ছিল সবার মাঝে।ম্যাচের আগে রোনালদোর ইনজুরিতে পড়ায় এই ম্যাচ কিছুটা হারায়। তবে মাঠে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছে আল নাসের।ঘরের মাঠে একের পর এক গোলে রীতিমতো উৎসবে মেতেছিল সউদী ক্লাবটি।

রিয়াদ সিজন কাপের এই ফুটবল ম্যাচে পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে ছাড়াই বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টার মায়ামিকে ৬-০ গোলে এক রকমের বিধ্বস্ত করেছে আল নাসের। হ্যাটট্রিক করেছেন আল নাসেরে খেলা ব্রাজিলিয়ান তারকা আন্ডারসন তালিসকা। ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তও চোখ ধাঁধানো একটি গোল উপহার দেন। রোনালদোর পর্তুগিজ সতীর্থ ওতাবিও এই ম্যাচে গোলের দেখা পান।
অন্যদিকে আল নাসেরের সাথে খেলা এই ম্যাচে সুয়ারেজ, বুস্কেটস এর মত তারকা থাকলেও শুরু থেকে একাদশে ছিলেন না লিওনেল মেসি। মেসিহীন ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটেই দুই গোল হজম করে ফেলে মায়ামি। প্রথমার্ধ্ব শেষ হওয়ার আগে সর্বমোট তিন গোল হজম করে দলটি। ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটে ওতাবিও, দশম মিনিটে তালিসকা এবং তাঁর দুই মিনিট পরেই মাঝ মাঠ থেকে দর্শনীয় একটি গোলটি করেন লাপোর্ত। শুরুর এই তিনটি ধাক্কা পুরো ম্যাচ অব্দি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি মেসির মায়ামি।
তিন গোলের লিড নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে আল নাসের। ৫১ মিনিটের সময় দলের চর্তুথ ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তালিসকা। অবশ্য এই গোলটি পেনাল্টির সুবাদে আদায় করেন তিনি। ৬৮ মিনিটে দলকে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মোহাম্মদ মারান। ৭৩ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা তালিসকা।
একেবারে শেষের দিকে ৮৬ মিনিটে হিসেবে মেসি মাঠে নামলেও ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। বিশ্বে দুই প্রান্তের দুই লিগে খেলা দুই মহাতারকার কোন ক্লাবটি সবথেকে সেরা সেটির বিতর্কও যেন শেষ করে রোনালদোর
ক্লাব আল নাসের।
শেষমেশ প্রীতি ম্যাচে সউদী সফরের স্মৃতিটা সুখকর হয়নি মেসিদের। মাত্র দুটি ম্যাচে সৌদির দুটি ক্লাব টিম থেকে ১০ গোল হজম করলো ইংলিশ এই ক্লাবটি!